বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে মানিক হত্যা, একই সংগঠনের কর্মীর নানি গ্রেফতার পাবনায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালকের মৃত্যু ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডায় বিএনপির আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ইপিজেড কর্মীর মৃত্যু ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে মিললো পাকিস্তানী রিভলভার! ঈশ্বরদীতে শীতের আগমনী বার্তা : হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন ঈশ্বরদীতে ‘সংবাদ সাতদিন’ পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ষে পর্দাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন ঈশ্বরদীতে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান বিষয়ে সভা। ঈশ্বরদীতে তৈরি হচ্ছে মুক্ত মঞ্চ স্থান নির্ধারণ

তিন মাসেই বিকল রেলইঞ্জিন, মেরামতের ৩ কোটি নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

দুর্ঘটনায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়া রেলের যে লোকোমোটিভ ইঞ্জিন তিন কোটি খরচে মেরামত করে লাইনে দেওয়া হয়েছিল তিন মাস না যেতেই সেটি একেবারে বিকল হয়ে গেছে। মেরামতের সময় ৪টি ট্রাকশন মোটরের পরিবর্তে দুটি লাগানোর কারণেই ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এমন কাজ করতে গিয়ে সেই তিন কোটি টাকার নয়ছয় হয়েছে কি-না তা নিয়েও কানাঘুষা রয়েছে।

সশ্লিষ্ট সূত্র মতো, ২০১৩ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় এমইআই-১৫ শ্রেণির ১১টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়। উন্নতমানের ওই ইঞ্জিনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানিতে তৈরি। এসব ইঞ্জিন দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ট্রেন পরিচালনা হচ্ছে।

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনটিকে ২৯৩৩ নং ইঞ্জিনটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। হবিগঞ্জের মাধবপুর নোয়াপাড়া স্টেশনে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে ইঞ্জিনটির নিচের অংশের জ্বালানি ট্যাংকে আগুন লেগে সম্পূর্ণ বিকল (ড্যামেজ) হয়ে পড়ে।

পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে পাঠানোর পর সেখানে পুরোপুরি মেরামত সম্ভব না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১৫ মে মেরামতের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন মেরামত করার কেন্দ্রীয় লোকমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়া রেলের সেই লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ৩ কোটি টাকা খরচ করে পুরোপুরি সচল করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল রেল বিভাগ। এরপর রেলের বহরে যুক্ত করা হয় ২৯৩৩ নম্বর ইঞ্জিনটি। কিন্তু গত তিন মাসে বার বার বিকল হয়ে পড়া ইঞ্জিনটি এখন পড়ে আছে।

অভিযোগ উঠেছে, পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটিতে মেরামতের সময় নতুন ৪টি ট্রাকশন মোটর দেওয়ার কথা বলা হলেও মূলত দুটি ট্রাকশন মোটর লাগানো হয়েছে। ফলে দ্বিতীয়বার মেরামত করা হলেও ১১ দিন পর নষ্ট হয়ে ১৮ জুলাই ইঞ্জিনটি পার্বতীপুর লোকশেডে বিকল হয়ে পড়ে।

কেলোকার মেরামত কাজের শিডিউল ইনচার্জ গোলাম মোস্তাফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকল হয়ে পড়ায় ২১ জুলাই ইঞ্জিনটিকে কেলোকাতে পাঠানো হয়েছে। এবারও ট্রাকশন মোটরের সমস্যা হয়েছে। বর্তমানে ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পড়ে আছে।

এদিকে কি কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো তা জানতে রেলের দায়িত্বশীল উর্ধতন কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রকৃত অর্থে কয়টি ট্রাকশন মোটর লাগানো হয়েছে, কোথা থেকে, সেসব কত টাকায় কেনা হয়েছে এসব জানতে তদন্ত কমিটি হচ্ছে বলেও গুঞ্জনও আছে।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর