এবার কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় দিলেন আদালত। রায়ে আসামি মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এত দ্রুত সময়ে রায় দেওয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম। দেড় মাস আগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ও ৪ অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়ায় সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দুই দফায় ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের। ঘটনার পর ০৫ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন পুলিশ আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করে।
পরের দিন ০৬ অক্টোবর আব্দুল কাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মিরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিক এ মামলার তদন্ত করে মাত্র সাতদিনের মাথায় গত ১৩ অক্টোবর তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
এরপর গত ১২ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার চার্জ গঠন করেন।
১৩ ও ১৪ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। বিচারকাজ শুরুর মাত্র তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দিলেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল হালিম বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার বিষয়টি দেশে বিরল। দ্রুত এ রায়ের মাধ্যমে নির্যাতিত পরিবারটি ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়ে গেল। আগামীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ধরনের রায় আরও হবে বলে আমরা আশা করছি।