স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগ আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একটি কুচক্রি মহল আসন্ন উপনির্বাচনে বিএনপি-জামাতের মদতপুষ্ট হয়ে নৌকার প্রচারণা ও বিজয়কে বাধাগ্রস্থ করার নীল নকশা রচনা করেছিল।
আওয়ামী পরিবারের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কারণে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাস্থলে সংঘঠিত সহিংসতার ঘটনায় এই নীল নকশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। পাবনা-৪ আসনে নৌকার বিজয় ও উন্নয়নের ধারাকে ব্যহত করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রচারণায় মাঠে নেমেছি।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা ও জেলা আওয়ামী লীগের পরামর্শে সকল মতপার্থক্য দূর করে আমারা আবারো সম্মিলিতভাবে গণসংযোগ শুরু করেছি। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা বুধবার ঈশ^রদী বাজারে ভোটের প্রচারণা শেষে প্রেসক্লাবে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় এসব কথা বলেছেন।
এরআগে পাবনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর নেতৃত্বে দ্বিধাবিভক্ত ওই দুই নেতাকে একসাথে নিয়ে ঈশ^রদী বাজারে নৌকার প্রচারণায় নামেন। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জেলার নেতা শরীফ প্রধান, শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চুসহ উভয় পক্ষের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন। বাজারে প্রচারণার সময় ব্যবসায়ীদের সংগঠন শিল্প ও বণিক সমিতির নেতারা আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপিদের সামনেই ঈশ্বরদীতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়। এঘটনার পর ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ অন্যান্য জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথাকে নিয়ে অনুষ্ঠিত মিমাংসা বৈঠকের মাধ্যমে উভয়ের মতপার্থক্যের নিরসন করা হয়।