বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ আহত- ১০

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে।

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে ঈশ্বরদী আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এখনও দু’গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজারের দোকানপাট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। প্রাণভয়ে সাধারণ মানুষ দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের আহতরা হচ্ছেন; পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি, পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি বক্কার মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের পুত্র রনি সহ অন্যরা।

এদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রাঘাতের আঘাতে আহত রনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দখল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

৬ বছর পর রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু দলীয় কার্যালয়ে যায়।

এতে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুল দেয়া নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে মিন্টু ও ইসহাকের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

পরে খবর পেয়ে উভয়গ্রুপ জড়ো হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, জামাত-শিবির অনুসারীরা আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে একের পর এক অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে তারাই দায়ী বলে দাবী করেন মিন্টু।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবুল কালাম আজাদ মিন্টু নোংড়ামি করে আসছে। মাঝে মধ্যেই দলীয় কার্যালয়ের একক দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।তিনি বলেন, ঘটনাগুলো স্বচক্ষেই কেন্দ্রীয় নেতারা দেখেছেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ নেতৃবৃন্দদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে দফায় দফায় দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর