পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে জ্বালানী লোডিং শুরু হয়েছে।
এটি রাশিয়ার বাইরে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রথম ইউনিট, যা খুব শীঘ্রই উৎপাদনে যাচ্ছে।
বেলারুশ প্রকল্পটির সঙ্গে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের যথেষ্ট মিল রয়েছে।
উভয় দেশের জন্য প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, উভয় প্রকল্পেই স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর এবং রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রসাটমের প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কনট্রাক্টর হিসেবে দু’টি প্রকল্পেই দায়িত্ব পালন করছে।
৭ আগষ্ট সকালে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটটি প্রথম জ্বালানী এসেম্বলী লোড করা হয়।
চলতি মাসেই মোট ১৬৩টি জ্বালানী এসেম্বলীর লোডিং সম্পন্ন হবে।
পরবর্তী ধাপে ইউনিটটিকে ন্যুনতম নিয়ন্ত্রনযোগ্য লেভেলে (মোট ক্ষমতার এক শতাংশ) পরিচালনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।
নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার পর শুরু হবে ইউনিটের পাওয়ার স্টার্ট-আপ এবং এটি বেলারুশের জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে।
রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ এ উপলক্ষে বলেন, “বেলারুশ এখন ৩+ প্রজন্মের প্রযুক্তি সম্বলিত সর্বাধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের অধিকারী।
রাশিয়ায় অনুরুপ ইউনিট পরিচালনার মধ্য দিয়ে এই প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা প্রমানিত হয়েছে।
এই ইউনিটগুলো ফুকুশিমা পরবর্তী নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করছে এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি এজেন্সী’র (আইএইএ) সকল মিশন ইউনিটগুলোর নির্ভরযোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
আমাদের জন্য বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ন কেননা রাশিয়ার বাইরে আমাদের ঘনিষ্ট প্রতিবেশী বেলারুশ প্রথম ভিভিইআর-১২০০ ইউনিটের নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েছে”।
স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ততা নিশ্চিত করে বেলারুশ এনপিপি নির্মিত হয়েছে। আইএইএ’র সকল নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ হরা হয়েছে প্রকল্পটিতে।
বেলারুশ নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় করছে।
এ ছাড়াও ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণকারী গ্রুপের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।
২০১২ থেকে ২০২০ সময়কালে ৭টি গুরুত্বপূর্ন আইএইএ মিশন পরিচালিত হয়েছে প্রকল্প নির্মান কর্মকান্ডে।
বর্তমানে, রাশিয়ায় এ জাতীয় তিনটি বিদ্যুৎ ইউনিট সচল রয়েছে এবং আরও একটি খুব শীঘ্রই উৎপাদনে যাবে।
বাংলাদেশ, বেলারুশ, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী, তুরস্ক এবং মিশরে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নির্মানকাজ এগিয়ে চলছে।