মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে অনুশীলন শুরু করবেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ চার মাস অনুশীলন থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে ইতোমধ্যে একক অনুশীলন শুরু করা মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, শফিউল ইসলাম, ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান রানাদের মত অনুশীলনের ময়দানে নামতে যাচ্ছেন এই ফাস্ট বোলার।
সতীর্থ পেসার শফিউল ও মেহেদী রানার অনুশীলন অবশ্য এতোদিন সীমিত ছিল শুধুমাত্র দৌঁড় ও জিমের মধ্যেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো বোলিংয়ের অনুশীলনের অনুমতি দেয়নি। তবে ইনডোরে বোলিং মেশিন দিয়ে অনুশীলন করছেন ইমরুল ও মিথুনদের মত ব্যাটসম্যানরা। করোনা চলাকালে নিজেকে ফিট রাখার জন্য তাসকিন ঘরেই ফিটনেস অনুশীলন চালিয়ে গেছেন। এ সময় বোলিং অনুশীলনের জন্য বাসার গ্যারেজকেই তিনি ব্যবহার করেছেন।
তাসকিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঘরে জিম করা ছাড়া আমি আমার গ্যারেজেই বোলিং অনুশীলন করে গেছি। কারণ ওই সময় মাঠে বোলিং করার কোনো সুযোগ ছিল না।’
আবারো জাতীয় দলে সুযোগ পেতে তাসকিনের দৃষ্টি ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দিকে (ডিপিএল)। তবে দুর্ভাগ্যবশত কোভিড-১৯ এর কারণে এক রাউন্ড শেষেই বন্ধ হয়ে গেছে এ লিগ। তাসকিন বলেছেন, ‘বোলিংয়ে ভালো করতে ফিটনেসের বিকল্প নেই। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ অনুভব করছিলাম। যে কারণে জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্যে ডিপিএলে বড় কিছু করার দিকে লক্ষ্য ছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য আমি নিয়মিত ফিটনেস অনুশীলন করে গেছি। এখন মিরপুর স্টেডিয়ামে ফিরতে পারলে দারুণ হবে।’
এদিকে বিরামহীন বৃষ্টির কারণে মিরপুরের স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের রানিং সেশনে ব্যাঘাত ঘটছে। কিন্তু মোহাম্মদ মিথুন, ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান রানার মত ক্রিকেটাররা নিয়মিত মাঠে আসছেন এবং ইনডোরে অনুশীলন অব্যাহত রেখেছেন।