বার্তা কক্ষ !! রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১২ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে তার নাম সুমন বেপারী। তিনি পেশায় ফল ব্যবসায়ী। রাজধানীর বাদামতলীতে ফল ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত আছেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
জানা যায়, ময়ূর-২ নামে বড় জাহাজের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড নামক লঞ্চের যাত্রী সুমন বেপারি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় কীভাবে বেঁচে ছিলেন। রাত আনুমানিক ৯টা৩০ মিনিটে ডুবুরিরা যখন টিউবের মাধ্যমে লঞ্চটি ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন এবং লঞ্চটির একাংশ ওপরে উঠে আসছিল ঠিক তখনই সুমন বেপারি লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসেন।
তার উদ্ধারের ঘটনায় কেউ বলছেন, রাখে আল্লাহ মারে কে?, কেউ বলছে, নিশ্চয়ই এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা রয়েছে।
সুমন বেপারি কেন কীভাবে বেঁচে থাকলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, লঞ্চটি পানির নিচে উল্টে যাওয়ায় বাতাস আটকে থাকে অর্থাৎ এয়ার পকেট তৈরি হয়। সম্ভবত সুমন বেপারি যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে পানি প্রবেশ করেনি এবং সুমণ বেপারি এয়ার পকেট থেকে অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে ছিলেন। এটাই একমাত্র কারণ, এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কারণ নেই।
উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তিকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদ উন নবী বলেন, ওই রোগীকে জরুরি বিভাগে ভর্তির পরপরই চিকিৎসা দেওয়া হয়। মিটিমিটি করে তাকায় কোন কথা বললে মাথা নাড়াচ্ছে। এখন জরুরি বিভাগে তাকে রাখা হয়েছে। পরে স্টাবল হলে তাকে ওয়ার্ডে রেফার করা হবে।
এদিকে সুমন বেপারির ভাতিজা আরাফাত রায়হান সাকিব জানান, উদ্ধার সংবাদ টিভিতে দেখে আমার চাচাকে শনাক্ত করি। এখন আমরা পরিবারের কয়েকজন মিলে মিটফোর্ড হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছি রাস্তায় আছি।