পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ তুলে তার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় তারা জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আগামী ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানসহ জাতীয় দিবসের সকল অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে ‘ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা ইউনিটের’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার বলেন, গত ১ নভেম্বর দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে দাপ্তরিক কাজ শেষে ফেরার সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলুকে অফিস চত্বরের নিচে কয়েকজন গেজেট ও লাল মুক্তিবার্তা বাতিলকৃত স্ব-ব্যাখ্যায়িত দাবিদার মুক্তিযোদ্ধারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং কয়েকজন বাবলুকে কিল-ঘুষি দেন। একপর্যায়ে বাবলুকে মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) ডা. মনসুর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সমস্যার সমাধানে পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। সেই বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বাবলুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা বাবলু আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক শোনার পরও কোনো আশ্বাস দেননি। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাবনা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব সুজানগরের যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু অংশগ্রহণ করেননি বলে মন্তব্য করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তুফানি ব্যাটালিয়ন বলে কোনো বাহিনী ছিল না বলেও দাবি করেন। এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা ডিসি অফিসের বৈঠক বর্জন করে বের হয়ে আসেন এবং ডিসি অফিস চত্বরে বিক্ষোভ ও সাংবাদিকদের সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলু, আবুল বাশার, বদিউজ্জামান, আবু জাফর, আতিয়ার রহমান সাচ্চু, এস এম মাহাবুবুর রশীদ, হামিদুর রহমান।