বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ সদস্য আহত-নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করেন। পুলিশ প্রধানের কর্মে ফেরার আহ্বানে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সন্ধায় ঈশ্বরদী থানায় ২ জন পরিদর্শক, ১০ জন এস আই, ১৩ জন এ এস আই সহ ৪৫ জন কনস্টেবল থানায় উপস্থিতি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক তদন্ত মনিরুল ইসলাম। এদিকে ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের টি.আই ২ জন, টি.এস.আই ২ জন, এ.টি.এস,আই ৬ জন, কনষ্টেবল ৯ জন উপস্থিত আছেন ।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে জান।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত সোমবার ৬ আগস্ট বিকেল থেকে সারাদেশে অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ও পুলিশ সদস্যদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথিপত্র লুট করা হয়।
প্রাণভয়ে পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করেন। নিশ্চিত মৃত্যুভয় জেনেও জীবন নাশের হুমকি এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ভেবে কর্মবিরতি পালন করেন।তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের নির্দেশে আজ ঈশ্বরদী থানা পুলিশ স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছেন।
এ দিকে আজ বিকালে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সাথে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।