পাবনার ঈশ্বরদীতে সপ্তাহজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। শনিবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদের পর বৈশাখের শুরুতে তীব্র তাপদাহ চলছে প্রকৃতিতে। এ দিকে সপ্তাহজুড়ে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ।
সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত একই মাত্রায় থাকছে এই অসহ তাপদাহ। মাথার ওপর নীল আকাশটা যেন গরম কড়াই। তাই দুপুর গড়াতেই পথ-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড। এ দিকে তীব্র তাপদাহে প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর সিরিয়াল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ ঠাঁই নাই।
তীব্র রোদ ও গুমোট আবহাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। অনেকে সামান্য স্বস্তির জন্য ছুটে চলছেন গাছের ছায়া তলে। তীব্র রোদ ও গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন আখের রস, তরমুজ, লেবুর শরবত, ঠান্ডা মাঠা, শসা ও ডাবের পানির দিকে। কনফেকশনারি থেকে শুরু করে বিপণীবিতান গুলোতে আইসক্রিম ও কোমল পানীয় বেচা-বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
তাপদাহের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন থেকে হিট অ্যালার্ট এবং তাপদাহ থেকে রক্ষায় করণীয় কি সেই বিষয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। তীব্র তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে ঘরের মধ্যেও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রন্জন জানান, আজ বিকাল ৩ টায় এ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪১.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও একদিনের ব্যবধানে বেড়ে এ বছরের সর্বোচ্চ আজ ৪১.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট।