পাবনার ঈশ্বরদীতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আজ চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদের পর বৈশাখের শুরুতে তীব্র তাপদাহ চলছে প্রকৃতিতে। গত পাঁচদিন ধরে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত একই মাত্রায় থাকছে এই অসহ তাপদাহ। মাথার ওপর নীল আকাশটা যেন গরম কড়াই। তাই দুপুর গড়াতেই পথ-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড। দিনভর তাপদাহের পর রাতে ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে জনজীবন।
তীব্র রোদ ও গুমোট আবহাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। অনেকে সামান্য স্বস্তির জন্য ছুটে চলছেন গাছের ছায়া তলে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিনমজুরদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে বৈশাখের শুরুতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তীব্র গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন আখের রস, তরমুজ,লেবুর শরবত, ঠান্ডা মাঠা, শসা ও ডাবের পানির দিকে। কনফেকশনারি থেকে শুরু করে বিস্কুট বিপণীগুলোতে আইসক্রিম ও কোমল পানীয় ও ঠাণ্ডা পানির বেচা-বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রন্জন জানান, আজ বিকাল ৩ টায় এ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও একদিনের ব্যবধানে বেড়ে এ বছরের সর্বোচ্চ আজ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে মাঝারী তাপদাহে কাতর মহিষের পাল একটু গাঁ ভেজাতে পুকুরের পানিতে নামতে দেখা যায়। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে উপজেলার তাপমাত্রা আরো বেড়ে তাপপ্রবাহ তীব্র হতে পারে।