বেসরকারি স্কুল-কলেজে চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদন নিয়ে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ দেওয়া যেতো। নীতিমালায় থাকা এ সুযোগের অংশটুকু স্থগিত করলো মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সই করা পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শিগগির এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১১.১১ অনুচ্ছেদে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছিল। এমপিও নীতিমালা অনুসারে-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সহকারী প্রধান বোঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত পাবেন। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানপ্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না। নীতিমালা ১১.১১ অনুচ্ছেদের এ অংশটুকুর কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোন আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না।
জানা গেছে, দেশের অসংখ্য বেসরকারি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষরা অবসরে যাওয়ার পরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। নীতিমালার বিধান অনুযায়ী তদবির করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাগিয়ে নেন। এ নিয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
২০২৩ সালের শেষ দিকে কয়েকশ প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।