তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে পাবনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। তবে, পুলিশের বাধার মুখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাদের কর্মসূচি। এসময় গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টার অভিযোগে দলটির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাবনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। মিছিল শহর অভিমুখে রওনা হলে মাসুম বাজারে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এসময় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ মিছিল পুনরায় বাস টার্মিনালের শহিদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, চাটমোহরের কদমতলী উত্তরপাড়া গ্রামের আলাপ উদ্দিন ছেলে ওয়াসিম মিয়া (২৮), কুষ্টিয়ার কুমারখালির চরসাদিপুর গ্রামের মন্টু মন্ডলের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সামাদ মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা (৪২), দিলালপুর মহল্লার কাজী মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে ছিবগাতুল্লা (২৭) ও চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাদের ছেলে রতন আলী (২৭)।
সমাবেশে পাবনা জেলা জামায়াতর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু তালেব মন্ডল, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, নায়েবে আমীর জহুরুল ইসলাম খান, পৌর আমীর আব্দুর রকিব, সদর আমির আব্দুর রব প্রমুখ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল শেষে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এসময় দলটির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করি। টার্মিনাল থেকে মুজাহিদ ক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ আমাদের। আমরা যথাযথ সময়ে বিক্ষোভ শুরু করলে মাসুম বাজারে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হই। পরে মিছিল থেকে ফেরার পথে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।