মাঠে নেমেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় ছুঁয়েছেন ম্যারাডোনাকে। প্রথমার্ধে সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পেয়েছেন ছন্দ।দারুণ এক গোল করে গড়েছেন রেকর্ড। পরবর্তী গোলে অবদান রেখে জিতিয়েছেন দলকেও। আর্জেন্টিনার শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন এই লিওনেল মেসিই।
শনিবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে লুসাইল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে বিরতির পর জালের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। মেসির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী গোলটি করেন এঞ্জো ফের্নান্দেস।
এই ম্যাচে গোল করে মেসি গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ডও। বিশ্বকাপে ৮ গোল করে দেশটির কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনোর পাশে নাম লেখিয়েছেন ৩৫ বয়সী এই ফুটবলার। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার গোল সংখ্যা ১০।
ম্যাচের শুরু থেকে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল আর্জেন্টিনা। বল হারানো, দুর্বল সব আক্রমণে ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছিল। একাদশ মিনিটে উল্টো সুযোগ পায় মেক্সিকো। আন্দ্রেস গুয়ার্দাদোর ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মন্তেস। ৩৬তম মিনিটে মেসির শট ঠেকিয়ে দেন ওচোয়া। ৪০তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া কর্ণার কিক হেডে সতীর্থের উদ্দেশে বাড়ান দি মারিয়া। বল পেয়ে লাওতারো মার্তিনেসের নেওয়া শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। পাঁচ মিনি পর এগিয়ে যেতে পারত মেক্সিকো। তবে ভেগার নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ঝাপিয়ে ঠেকান এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
বিরতির পর খেলতে নেমে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে থাকে আর্জেন্টিনা। তবে সুযোগ পেলেই আক্রমণ করতে ভুলেনি মেক্সিকো। ৬৪তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আলবেসিলেস্তারা। গোলটি আসে লিওনেল মেসির পা থেকেই। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক নিঁচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
মেসির গোলের পর খেলায় ছন্দ ফিরে পায় আর্জেন্টিনা। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। এরই ধারাবাহিতকতায় ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বদলি হয়ে নামা এঞ্জো ফের্নান্দেস। কর্ণার থেকে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এঞ্জোকে পাস দেন মেসি। দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলেননি বেনফিকার এই মিডফিল্ডার।
দুই ম্যাচে ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান আর্জেন্টিনার। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সৌদি আরব দুইয়ে। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে পোল্যান্ড।