বর্তমান সরকারের অবকাঠামোগত নানা উন্নয়নমুখি কার্যক্রম ও প্রযুক্তিগত ব্যবহারে এগিয়ে যাওয়া চিত্র নিয়ে পাবনায় শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। “উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এবারের মেলার আয়োজন। পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেলাতে জেলা সদরের সকল সরকারি ও বে-সরকারি দপ্তর, বেশ কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনলাইন ভিত্তিক ক্ষুদ্র নারীদের সংগঠন এই মেলাতে অংশ গ্রহণ করেছেন। ১৬ নভেম্বর (বুধবার) সকালে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন পাবনা জেলা প্রশাসন।
দুদিনব্যাপী মেলাতে ৫০টি স্টোলে জেলা সদরের সকল সরকারি, বে-সরকারি দপ্তর ও স্থানীয় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্র্থীরা তাদের নতুন নতুন আবিস্কার ও উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়। অপর দিকে সরকারি দপ্তর গুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসেবায় কি কি ধরনের উন্নয়ন ও সেবা প্রদান করছে সেই বিষয়ে সাধারন মানুষদের কাছে তুলে ধরেন তাদের কার্যক্রম। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ায় মেলাতে আগত স্থানীয় দর্শক সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠে।
দেশের কল্যাণে প্রশাসন ও রাষ্টের গুরুত্বপূর্ণ সেবায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অটো বোমা বিস্ফোরক ডিটেকটিভ মেশিন নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া জেলা সকল উপজেলাতে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ বাস্তবায়ন প্রকল্প নিয়ে উপস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ, দেশের মেগা প্রজেক্ট রুপপুর প্রকল্পসহ উন্নয়নমূখি কার্যক্রম ও ভবন নির্মনের পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রর্দশন করেন গণপূর্ত অধিপ্তর পাবনা, সল্প তেলে বিদ্যুতায়ন, প্রযুক্তি ব্যবহারে কমমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান উপকরণ নিয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস, ছাদ কৃষি সহ আধুনিক কৃষিব্যবস্থা উপকরণ নিয়ে কৃষি বিভাগ আর রাষ্ট্রের মানুষের সেবায় জেলা পুলিশের আধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে জেলা পুলিশ মেলাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনলাইন ভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা তাদের বিভিন্ন খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী প্রর্দশন করে মেলাতে।
বিকেলে মেলা মাঠে স্কুল কলেজের শিক্ষা ছাড়াও নানা বয়সের নানা শেনী পেশার মানুষ নারী ও পুরষের আগমের বেশ উৎসব মুখোর হয়ে উঠে। মেলায় স্থানীয় সাস্কৃতি কর্মীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল থেকে শুরু হওয়া মেলা চলে রাত ১০ টা পর্যন্ত। বুধবার থেকে শুরু হওয়া মেলা বৃহঃবার অংশ গ্রহণকারী নতুন উদ্ভাবকদের পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়। দুইদিনব্যাপী এই ডিজটাল মেলা হওয়াতে সাধারন দর্শনার্থীরা একদিকে যেমন এক সাথে সকল দপ্তরের উন্নয়মুখি উদ্যোগ ও কার্যক্রমের চিত্র দেখতে পাচ্ছে। অপরদিকে সকল শ্রেনী পেশার সাধারন মানুষের সমাগম লক্ষ করাগেছে মেলা মাঠে।