রাত পোহালে জেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রার্থীরা শেষ মূহুর্তে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
আগামীকাল সোমবার ১৭ অক্টোবর পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড (ঈশ্বরদী) সদস্য পদে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। পৌরশহর থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় ছেঁয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে।
প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ও কখনো ছুটছেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ভোট প্রার্থীর আশায় প্রার্থীরা আত্মীয়তা ও দলীয় সূত্র খুঁজে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঝালাই করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জেলা পরিষদের এ ভোট নিয়ে সাধারণের মাঝেও চলছে আলোচনার ঝড়। প্রার্থীদের আদর্শ চরিত্র, শিক্ষা ও আয় রোজকারের বিষয়ে মানুষ খোঁজখবর নিচ্ছে। আলোচনায় স্থান পাচ্ছে প্রার্থীদের অতীত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।
তবে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগ নেতা বীরমু্ক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন নির্বাচিত হয়েছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা কামিল হোসেন নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন শুধু সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটার হিসেবে থাকেন সকল পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৩ জন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ ১৩ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান।
অর্থাৎ ৯ নং ওয়ার্ড ঈশ্বরদীতে একটি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়ন মিলিয়ে ভোটারের সংখ্যা ১০৭ জন। তাঁরা ভোট দিয়ে একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন কালকে । ঈশ্বরদীতে প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন তৈফিকুজ্জামান রতন মহলদার, শফিউল আলম বিশ্বাস, সাইফুল আলম বাবু মণ্ডল, মুরাদ আলী মালিথা, মুরাদ আলী, আনসারুল ইসলাম বকুল মৃধা।
৯ নং ওয়ার্ড (ঈশ্বরদী) এর এই নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামান্য ভোটের ব্যবধানে একজন বিজয়ী হবেন। ভোটাররা বেশ মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। কাকে ভোট দেবেন এ নিয়ে চলছে হিসাব নিকাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটার জানান , সব প্রার্থীই কাছের মানুষ। তাই ভোট প্রয়োগ করা বেশ কঠিন। তারপরও কিছু বিষয় থাকে সেগুলো বিবেচনা করে আজকে রাতের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিবো কাকে ভোটটি দিবো।