বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

পাবনায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
আ. জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিন।

সাড়ে ৪ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আ. জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে স্ত্রী নাছরিনের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। নিজের কোনো আয় না থাকলেও এ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের প্রয়াত আছাব আলী সরকারের ছেলে ও পটুয়াখালী জেলার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আ. জলিল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া মাহমুদা নাছরিনের দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ মিলেছে। সব মিলিয়ে চার কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অপরাধযোগ্য সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

সূত্র আরও জানায়, মাহমুদা নাছরিনের নামে আয়কর নথি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি গৃহিণী। তার নিজস্ব কোনো আয় নেই। তার সব সম্পত্তি স্বামী জলিল মিয়ার অবৈধ আয় দিয়ে অর্জন করা। জলিল মিয়া অবৈধ আয়কে বৈধ করতে সম্পদ নিজের নামে না করে স্ত্রীর নামে রাখেন। অর্থাৎ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।

এর ফলে জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক খাযরুল হক জানান, এ বিষয়ে দুদক পাবনা অফিসে একটি নিয়মিত মামলা রজু হয়েছে। মামলাটি তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর