বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে মানিক হত্যা, একই সংগঠনের কর্মীর নানি গ্রেফতার পাবনায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালকের মৃত্যু ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডায় বিএনপির আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ইপিজেড কর্মীর মৃত্যু ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে মিললো পাকিস্তানী রিভলভার! ঈশ্বরদীতে শীতের আগমনী বার্তা : হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন ঈশ্বরদীতে ‘সংবাদ সাতদিন’ পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ষে পর্দাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন ঈশ্বরদীতে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান বিষয়ে সভা। ঈশ্বরদীতে তৈরি হচ্ছে মুক্ত মঞ্চ স্থান নির্ধারণ

বিরূপ আবহাওয়া, ঈশ্বরদীতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সময় মত সেচ দিতে না পেরে কৃষকের মাথায় হাত

অনাবৃষ্টির কারণে চলতি মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করতে পারেননি কৃষকরা। কেবল বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে উপজেলার যেসব জমিতে প্রতিবছর আমনের আবাদ হতো সেসব জমি এবার অনাবাদি রয়ে গেছে। পাশাপাশি সারের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও শ্রমিকের মজুরি চাষিদের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি, পতিরাজপুর, দুবলাচারা ও আড়পাড়া, দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী, সুলতানপুর গ্রামে সরেজমিন ঘুরে শত শত বিঘা অনাবাদি জমি দেখা যায়। চাষিরা জানান, এসব জমিতে প্রতিবছর ধানের আবাদ করা হতো। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আবাদ করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমি। ২৭০ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৬১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। অথচ ২০২০ সালের একই সময়ে বৃষ্টিপাত হয় ৮৩৩ দশমিক ১ মিলিমিটার। এছাড়া ২০২১ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয় ১০৩১ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

পতিরাজপুর গ্রামের কৃষক কবির মালিথ বলেন, প্রতিবছর আমি ২২ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করি। এবার মাত্র তিন বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। প্রায় ১৯ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। অনাবৃষ্টির কারণে ধান রোপণ করা সম্ভব হয়নি। জমি অনাবাদি থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের বালি কুকড়া বিলে প্রতিবছরই ২৩ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেন রবিউল মালিথা। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আট বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে পারেননি তিনি।

রবিউল বলেন, আমন মৌসুমে এই জমিগুলো বৃষ্টির পানিতে ভরপুর থাকে। সেচের কোনোদিন প্রয়োজন হয়নি। এবারই প্রথম অনাবৃষ্টির কারণে ধান রোপণ করা গেলো না। বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। কারণ ডিজেলের যে দাম মেশিনের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে গেলে ব্যাপক লোকসান হবে। আমার মতো বহু কৃষকের জমি এবার অনাবাদি পড়ে আছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, এ উপজেলায় কম বৃষ্টিপাতের কারণে ২৭০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমন ধানের আবাদ করতে পারেনি। এসব জমিতে ধান লাগাতে না পারলেও অনেক কৃষক মাসকলাই আবাদ করেছেন। এতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিতে নিতে পারবে।
এ উপজেলায় আমনের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামান্য কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু পাবনা জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর