পাবনাসহ সারাদেশে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসা একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শেষে তাদের আটকের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ডিএমপি ডিবি পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাপসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার হয়। শুক্রবার পাবনা পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার দোহাকালা গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মাসুদ করিম (৪৭), বড় পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সাবেদ প্রামানিকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), উল্লাপাড়া পশ্চিম পাড়ার নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ (৩৩), চর আঙ্গুরু গ্রামের আব্দুস শুকুর মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮), প্রামাণিক পাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের প্রামাণিকের ছেলে মাসুদ রানা, ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মোঃ হোসেন ড্রাইভার।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, গত ২৫ আগস্ট পাবনার জনতা ব্যাঙ্ক কাশীনাথপুর শাখা থেকে পাশর্^বর্তী হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে নান্দিয়ারা কবরস্থানের সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস শরিফুলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে, চোখ ও হাত পা বেঁধে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আলাদীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ আগস্ট শরিফুল আমিনপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সূত্র ধরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে টানা এক সপ্তাহ তদন্ত করে আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। কয়েক দফা অভিযানে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, ওকিটকি, পুলিশের সিগন্যাল লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আলামত উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তি দিয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।