পাবনার সদরের ভা্ড়াঁরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী গ্রামের চারা বটতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানান, ইয়াসিন আলম হত্যা এজাহার ভুক্ত কয়েকজন আসামী ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলা এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাবনা সদর সার্কেলের এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা ও সদর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সশস্ত্র অবস্থায় মামলার অন্যতম প্রধান আসামী কোলাদী বিজয় রামপুর গ্রামরে নাদের বিশ^াসের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), মহাদেবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের খবির শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (৪০) ও সন্দেহভাজন আসামী একই গ্রামের তাহেজ উদ্দিনের ছেলে সিরাজ শেখ (৩৬) কে আটক করা হয়ে। এ সময় তাদের নিকট থেকে এক রাউন্ড গুলি ও লোডেড ম্যাগাজিন সহ একটি বিদেশি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি সহ একটি ওয়ান সুটার গান উদ্ধার করা হয়।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনউজ্জামান জানান, আসামীদের শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হত্যা মামলার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ পূর্বের একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। গত ১১ ডিসেম্বর ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ খানকে প্রধান আসামী করে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মোজাম্মেল হোসেন। প্রার্থী নিহত হওয়া আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারিত ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।