দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচন। মেয়র পদে মাঠে রয়েছেন তিনজন প্রার্থী। ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা (নৌকা) প্রতীকে, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন (ধানের শীষ), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই পীর সাহেবের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম মাসুম (হাতপাখা) প্রতীকে নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও নয়টি ওয়ার্ডে ৪৭ জন কাউন্সিলর বিভিন্ন প্রতীকে অংশ নেন।
ভোট কেন্দ্র ছাড়াও গোটা নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে বিজিবি টহল শুরু করেছে। বিজিবির পাশাপাশি র্যাবের ভ্রাম্যমান টিমও টহলে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌর নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম.ইমরুল কায়েস জানান অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।নির্বাচন সুষ্ঠু করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিপি ও আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন ১০জন ম্যাজিষ্টেট। থাকবে ৩ প্লাটুন বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
এ দিকে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া (সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, ১৯টি ভোট কেন্দ্রকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে পশ্চিম ও পূর্ব এর মধ্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৫জন পুলিশ এবং ০৯ জন আনসার ভিডিপির সদস্য নিয়োজিত থাকবে।এ ছাড়াও পুলিশের ৪টি পেট্রোলিং টিম ও ২টি ষ্ট্রাইকিং টিম থাকছে সার্বক্ষনিক। তিনি জানান রাতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার পাশাপাশি ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে এসে আবারো নিরাপদে বাসায় ফিরে যেতে পারে সে জন্য ষ্ট্রাইকিং এবং মোবাইল টীম সারাক্ষন পেট্রোল ডিউটি করবে।
ঈশ্বরদী পৌরসভায় মোট ভোটার ৫৫,৫৬৮ জন পুরুষ ভোটার ২৭,২৪১ জন মহিলা ভোটার ২৮,৩২৭ জন।