প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার ছোট-বড় সবার হাতে মোবাইল ফোন। পর্ণভিডিও’র বিস্তার মহামারি ভাইরাসের মত। আইনে ১৮ বছরের কমবয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করে শিশু-কিশোরের হাতেও নানারঙের মোবাইল শোভা পাচ্ছে।
রবিবার (৩ জানুয়ারী) সন্ধা ৭টায় ঈশ্বরদী বাজারের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত মোবাইল, কম্পিউটারের দোকানে পুলিশের অভিযান চলে।
ঈশ্বরদীতে ব্যাঙের ছাতার মতো আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠা ডাউনলোডের দোকান গুলোতে ১০ টাকায় মিলছে এসব পর্ণোগ্রাফি। এসব পর্ণো টিনএজ সেক্স ভিডিওগুলো আপলোড-ডাউনলোডের দোকান থেকে মোবাইলের মেমোরীতে লোড নিচ্ছে দেদারছে। সিমফোনি, ম্যাক্সিমাস, স্মার্ট, ওয়েস্টার্ন, জি-ফাইভ, নোকিয়া মোবাইলগুলোর দাম এখন হাতের নাগালে থাকায় বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। তাই হাতে হাতে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ছে পর্ণো ভিডিও।
আইনের ০৪ ধারামতে পর্ণগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও প্রদর্শন করা যাবে না। করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। ৮/১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি পর্ণোগ্রাফি উৎপাদন বা এ উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণকারী সংগ্রহ করে চুক্তিপত্র তৈরি করলে অথবা কোন নারী-পুরুষ বা শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে, তাকে জানিয়ে স্থির, ভিডিও বা চলচ্চিত্র ধারণ করলে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। ৮/৩ ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্যকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্ণগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
অভিযানে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।