চলতি বছরেই দেশের ৯ উপজেলার ১২ লাখ মানুষ পাচ্ছেন ডিজিটাল হেলথ কার্ড বা স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র। দেশের তিন কোটি মানুষ ২০২৩ সালের মধ্যে এ কার্ড পাবেন। এই হেলথ কার্ডে রোগীর যেসব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে, সে অনুযায়ী নানা পদক্ষেপ নিতে পারবে সরকার।
রবিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ‘হেলথ আউটকাম পরিমাপ’ এবং ‘ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড’ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ‘ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড’ তৈরি দেশের মানুষের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে এখন দেশের প্রান্তিক মানুষজনও খুব সহজেই স্বাস্থ্যসেবা লাভ করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হেলথ আইডি কার্ডে একজন মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যগুলো সংযুক্ত থাকবে। কম্পিউটারের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো একজন চিকিৎসক দ্রুত দেখতে সক্ষম হবেন। কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে এই কার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সফটওয়্যারে রোগীর আগের সবতথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায় আরও গতি এলো।’
দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার খানাভিত্তিক প্রত্যেক সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইনডিভিজুয়্যাল হেলথ আইডি কার্ড তৈরি ও বিতরণ করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ হেলথ আইডি কার্ড ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের পাঁচ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে এই ডিজিটাল হেলথ কার্ড চালু করা হবে।’
উল্লেখ্য, ‘সারাদেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৮১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এখান থেকে ২৮ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন রোগীরা।
এবার কমিউনিটি ক্লিনিকে যোগ হলো হেলথ কার্ড। টুঙ্গীপাড়া, মিঠামইন, চকোরিয়াসহ দেশের ৯ উপজেলার ২৫৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিকভাবে ১২ লাখ মানুষ এই ডিজিটাল হেলথ কার্ড পাবেন।