বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে মানিক হত্যা, একই সংগঠনের কর্মীর নানি গ্রেফতার পাবনায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালকের মৃত্যু ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডায় বিএনপির আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ইপিজেড কর্মীর মৃত্যু ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে মিললো পাকিস্তানী রিভলভার! ঈশ্বরদীতে শীতের আগমনী বার্তা : হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন ঈশ্বরদীতে ‘সংবাদ সাতদিন’ পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ষে পর্দাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন ঈশ্বরদীতে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান বিষয়ে সভা। ঈশ্বরদীতে তৈরি হচ্ছে মুক্ত মঞ্চ স্থান নির্ধারণ

সেই খুকির পাশে দাঁড়াল রাজশাহী জেলা প্রশাসন

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
দিল আফরোজ খুকি (ছবি : সংগৃহীত)

হঠাৎ করেই আলোচনায় রাজশাহীর দিল আফরোজ খুকি। ১১ বছর আগে টেলিভিশনে প্রচারিত তার একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে খুকীর সংগ্রামী জীবন। তার সংগ্রামী জীবনের সেই গল্প নাড়া দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। ভিডিওটি হৃদয় স্পর্শ করেছে কোটি কোটি মানুষের। অনেকেই খোঁজ নেয়া শুরু করেছেন তার। এগিয়ে এসেছেন সহায়তায়।

এবার সেই দিল আফরোজ খুকির পাশে দাঁড়ালো রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুকির বর্তমান অবস্থা দেখে রাজশাহীর পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীনের মনে নাড়া দেয়। এরপর তিনি নিজেই মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে নিজেই খুকির বাড়ি গিয়ে তাঁর খোঁজখবর নেন।

শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, আমি তার বাসায় গিয়ে দেখি আসলে বাসাটা বসবাসের উপযোগী নয়। এ ছাড়া তার খাওদাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রেস্টুরেন্টে গেলেও তাঁকে খাবার খেতে দেওয়া হয় না। আমাদের আগ্রহ দেখে একজন প্রতিবেশী এগিয়ে এলেন। তিনি জানালেন, তাকে বাজার করে দিলে বা টাকা দিলে তিনি তিনবেলা রান্না করে খুকিকে খাওয়াবেন। আমি সে ব্যবস্থা করে দিয়ে এলাম।

জানা যায়, শেখ এহসান উদ্দীনের এই কাজ দেখে এগিয়ে আসে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে খুকির বাসায় যান। এরপর খুকির সব ‘টেক কেয়ার’-এর দায়িত্ব নেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসানকে খুকি বলেন, আমার বাবা ছিলেন রাজশাহী জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্ট এবং মা ছিলেন সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষিকা। অল্প বয়সে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সবাই আমাকে ঠকিয়েছে এবং পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। আর এ জন্যই তাঁর এই সংগ্রামী জীবন।

খুকি জানান, তার নিজস্ব বাড়ি আছে। পৈতৃকভাবে তারা সচ্ছল ছিলেন; কিন্তু কিছুটা স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ায় তার নিজের ভাই-বোনও তাকে দেখে না। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন।

শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, খুকির তেমন ডিমান্ড নেই। তার বাসা আছে, জমি আছে। শুধু তার প্রয়োজন আদর-যত্ন নেওয়া। এ ছাড়া যে বাড়িটা আছে তা বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর বাসাটাকে পুরোপুরি বসবাসের উপযোগী করে তুলছি। এখন হয়তো সবাই খুকির পাশে দাঁড়াতে চাচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে খুকিকে প্রতি মাসে বাজার খরচ ও তাকে তদারকি করবে। কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুকিকে সহায়তা করতে চান, তবে করতে পারেন, যদি তিনি তা নেন। কেননা কারো আর্থিক সহায়তাই এই নারী নিতে চান না।

জানা গেছে, কিশোরী বয়সে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে খুকির বিয়ে হয়েছিল। মাস যেতে না যেতেই স্বামী মারা যান। ১৯৮০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন তাকে গৃহছাড়া করেন। ভাইদের আপত্তিতে বাবার বাড়িতে তার জায়গা হয়নি। এর পর থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।

খুকি সম্পর্কে প্রতিবেশীরা বলছেন, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। নিঃসন্তান নারীর বিয়ে হয় কিশোরী বয়সে। এক মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি একগুঁয়ে স্বভাবের হয়ে ওঠেন। বাবার কাছ থেকে পাওয়া জমিতে বাড়ি তৈরি করে একাই থাকেন। কারো কাছ থেকে কোনো সহায়তা নেন না। পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর