বহুল পাকশী রিসোর্টের সামনে রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ দপ্তরের ষ্টেনো টাইপিষ্ট মামুন উল করিম (৪০) কে হত্যা প্রচেষ্টার আসামী গ্রেফতার ও হামলার আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম শুক্রবার সকালে আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাকশী রিসোর্টের সামনে দিয়ে মোটর সাইকেলে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মামুনকে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা মামুনের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায। স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাকশী রেলওয়ে হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করে। অনেক প্রচেষ্টার পর মামুন প্রাণে বেঁচে যায়। মামুনের বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে এঘটনায় ১৬ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এনামুল (৩১) পিতা- শাহজাহান, সাং- কোমরপুর, থানা ও জেলা- ফরিদপুরকে আসামী করা হলেও তদন্তে শাকিল রিয়াজ সুজন নামে আরেকজনের সংশ্লিষ্ঠতা উদঘাটিত হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে মামুন ও আসামী এনামুল একই অফিসে চাকরী করে। অফিসের চূড়ান্ত বিল ও রিটেনশন মানি ফেরত সংক্রান্ত পে-অর্ডার কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ঠিকাদারকে পাইয়ে দেবার ঘটনা ফাঁস হয়। এঘটনায় অফিসের লোকজন আসামী এনামুলকে সন্দেহ করে। বিষয়টি মামুন ফাঁস করেছে বলে এনামুলের সন্দেহ ও মতানৈক্য হয়। এরই জের ধরে এনামুল সন্ত্রাসী ভাড়া করে মামুনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে রেল কর্তৃপক্ষ এনামুলকে বরখাস্ত করে।
পুলিশ জানায়, এনামুলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হলে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ২৪ আগষ্ট সে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়। পুলিশ ভিকটিম ও আসামীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তদন্ত করে শাকিল রিয়াজ সুজন নামে আরেক আসামী জড়িত থাকার সন্ধান পায় এবং তাকে আটক করে। গত ১ সেপ্টেম্বর আসামীদের রিমান্ডে আনা হলে তারা হামলার ঘটনা স্বীকার করে এবং এসময় আলামত উদ্ধার হয়। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো বলে জানা গেছে।