এই প্রথম মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়ের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। স্পুটনিক নামেও ওই ভ্যাকসিন নিয়ে আশা দেখছেন পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে করোনা রোধে রাশিয়ার ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে?
রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে। বিশ্বের ২০ টি দেশ ওই ভ্যাকসিন চেয়ে আবেদনও করেছে। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া প্রথম হওয়ার জন্য অনেকটা তড়িঘড়ি করেই ভ্যাকসিন এনেছে। ২ মাসেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই কম সময়ে হিতে বিপরীত হবে না তো? এই প্রশ্নই তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ লরেন্স গোস্টিন জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তিত। তার কথা অনুযায়ী হয়তো এটি শুধুমাত্র অকার্যকরীই নয় তার সঙ্গে বিপজ্জনকও হতে পারে।
মার্কিন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফউসিরও সন্দেহজনক মত রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, `আমি আশা করি রাশিয়া ও চীন প্রতিষেধকের পরীক্ষা করছে। কারণ পরীক্ষার আগেই প্রতিষেধক প্রস্তুত বলা অত্যন্ত সমস্যাজনক।
রাশিয়া এখনও পর্যন্ত সকলের আছে বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ্যে এনেছে শুধুমাত্র প্রথম পর্বের ট্রায়ালের ফল। প্রথম পর্বের ট্রায়াল হয়েছিল ৭৬ জনের মধ্যে। তাদের বেশির ভাগই সেনাবাহিনীর সদস্য। ট্রায়াল সফল হয়েছিল। ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি কোনও ব্যক্তির। এমনটাই খবর মিলেছিল রাশিয়ার টাস সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী গামালেয়ার ওই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল শুরু হয় ১৩ জুলাই, শেষ হয় ৩ আগস্ট।
কীভাবে কাজ করে রাশিয়ার ভ্যাকসিন?
প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসকে দূর্বল করে দেয় এই ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনটি মূলত সার্স কভ-২ জাতীয় অ্যাডিনোভাইরাসের ডিএনএর উপর ভিত্তি করে তৈরি।
রাশিয়া উপ-প্রধানমন্ত্রী তাতায়না গোলিকোভা জানিয়েছেন, তাদের ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন সে দেশের চিকিৎসক ও শিক্ষকরা। এখনও জানা যায়নি তাদের ভ্যাকসিনের দাম।