ভ্যাকসিন এলেই মিলবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি। এমন আশায় বসে আছেন গোটা বিশ্বের মানুষ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিডনেভ।
তিনি বলেন, সাফল্যের সঙ্গে এটি লঞ্চ করা হলে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। আপাতত এ ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও বয়স্ক লোকদের আগে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এর আগে জানানো হয়, মস্কোর তরফ থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ম্যাস ভ্যাকসিনেশন অর্থাৎ বহু মানুষকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো এমনটাই জানিয়েছিলেন।
খবর অনুযায়ী, গামালেয়া ভ্যাকসিন শর্তসাপেক্ষে আগস্টে নথিভুক্ত করা হবে। এর অর্থ হলো ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলবে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল যতদিন না সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন তা শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।
যদিও বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছে তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন বের করার ব্যাপারে। তারা চাইছেন, নিরাপত্তা ও কার্যক্ষমতার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করা উচিত নয়।
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) প্রধান ক্রিমিল দিমিত্রিভ আগেই জানিয়েছিলেন, প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তাদের করোনা টিকা বাজারে আনবে। এ ব্যাপারে ক্রিমিল দিমিত্রিভ বলেছিলেন, স্পুতনিকের মহাকাশ যাত্রা দেখে মার্কিনীরা যেমন অবাক হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটবে করোনা টিকার ক্ষেত্রেও। বিশ্ববাসী অবাক হয়ে রাশিয়ার সাফল্য দেখবে।