বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সীমিত পরিসরে সফলভাবে হজ সম্পন্ন হওয়ার পর এবার ওমরা চালু কথা ভাবছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে ওমরা।
সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. হুসাইন আল শরিফ সৌদি আরবের গণমাধ্যম আল আরাবিয়াকে জানিয়েছেন, হজের পুরো প্রক্রিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে ওমরার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ।
হুসাইন আল শরিফ বলেন, এ বছর করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যেভাবে হজ আয়োজন করা হয়েছে, তার পুরো প্রক্রিয়াটি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে ওমরার প্রস্তুতি নেবে মন্ত্রণালয়। হজ চলাকালীন কোনো হাজি করোনা পজিটিভ হননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে হজ পালন শেষে ইতিমধ্যে আড়াইশ হাজি বাদে সবাই নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে গেছেন। থেকে যাওয়া হাজিরা মদিনা শরিফ জিয়ারত শেষে বাড়ি ফিরবেন। শর্ত অনুযায়ী বাড়ি ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সবাইকে। কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার হাজিদের এক ধরনের ইলেক্ট্রিক ব্রেসলেট হাতে পরিয়ে দিয়েছে। এটা দিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পাদনের জন্য হারামাইন প্রেসিডেন্ট শায়খ সুদাইসসহ, হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ডা. মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. তাওফিক আল রাবিয়াহসহ অন্যরা হজযাত্রীসহ হজ সেবায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে ফেব্রুয়ারির শেষে ওমরা পালনের জন্য সৌদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং ৪ মার্চ থেকে সৌদির নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য ওমরা পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই থেকে মসজিদে হারামে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি ফর দ্য স্ট্যাটিসটিক্স (জিএস্ট্যাট)-এর পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালে ওমরা পালন করেছেন এক কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে বহির্বিশ্ব থেকে এসেছেন ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৩ জন। এই সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৪.৬৩ শতাংশ বেশি।