ঈশ্বরদী প্রেসকাবের স্থায়ী সদস্য তৌহিদ আক্তার পান্নাকে প্রেসক্লাবের স্বার্থ বিরোধী ও অনৈতিক কার্য্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ হতে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত মাসের ২৮ তারিখ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত হয়। প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাতেন পান্নার বহিষ্কারের বিষয়টি (৩ আগষ্ট) সকালে নিশ্চিত করেছেন ।
অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন স্থায়ী সদস্য হওয়া সত্বেও পান্না কথিত “উপজেলা প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী” নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে নিজেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়ে এই সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। যা বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির গোচরীভূত হয়।
এছাড়াও পান্না দীর্ঘদিন ধরে প্রেসক্লাবের নামে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিকট হতে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে চাঁদাবাজী করে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যা ঈশ্বরদীতে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং বিষয়টির নৈতিকতা সম্পর্কে ক্লাবের ভেতর ও বাইরে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এহেন কর্মকান্ড প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৯ এর সংগঠনের শৃংখলা বিধির ‘ক’ ও ‘চ’ ধারার পরিপন্থি।
এছাড়াও ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই প্রেসক্লাবের বাইরে নিজস্ব অফিসে বিচ্ছিন্নভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই বিষযটিও গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৩ এর ‘ঙ’ ধারার সাংগাঠনিক শৃংখলা ভঙ্গের অপরাধ। এহেন কর্মকান্ডের কারণে গত ২৮শে জুন’২০ইং তারিখে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির মাসিক সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২ জুলাই ২০ ইং তারিখে সংগঠনের শৃংখলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার বিষয়ে ৭ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয় কিন্তু তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশ গ্রহন করেননি এবং কোন জবাবও দাখিল করেন নাই।
ফলে গত ১৩ই জুলাই’২০২০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রেসকাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৯ এর সংগঠনের শৃংখলা বিধির ‘ক’ ও ‘চ’ ধারার পরিপন্থি এবং অনুচ্ছেদ-৩ এর ‘ঙ’ ধারার সাংগাঠনিক শৃংখলা ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত করে সর্বসম্মতিক্রমে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ হতে বহিস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।