রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভোরে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা মিরপুরের স্থানীয় সন্ত্রাসী। তাদের কাছে থাকা বস্তু থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, মিরপুর এলাকার একজন রাজনৈতিক নেতাকে খুন করার জন্য কয়েকজনকে ভাড়া করা হয়েছে এমন খবরে পুলিশ তাদের ধরতে কয়েকদিন ধরে নজরদারি চালিচ্ছে। আজ ভোরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও কিছু মালামাল জব্দ করা হয়। সেগুলো থানায় নিয়ে আসা হয় এবং উদ্ধার মালামাল ওসি অপারেশনের কক্ষে রাখা হয়।
সেখানে বিস্ফোরক কিছু থাকতে পারে এমন সন্দেহে বিশেষজ্ঞ দলকে তলব করা হলেও তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সেটি বিস্ফোরিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের চারজন সদস্য ও একজন সাধারণ মানুষ আহত হন।
তারা হলেন, পরিদর্শক ইমরান, উপ পরিদর্শক (এসআই) সজিব, পিএসআই অংকুর, পিএসআই রোমিও এবং রিয়াজ।
তাদের উদ্ধার করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান এবং ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। যাদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক। তবে ওসি অপারেশনসহ দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- তারা কোন জঙ্গি সদস্য নয়। তবে, তারা কোন না কোন ক্রিমিনাল গ্রুপের সদস্য। তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছিল। সেই অংশ হিসেবেই তাদেরকে ভোরে ধরা হয়েছিল। আরো কয়েকজন ছিল তারা পালিয়ে যায়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি ওয়েট মেশিন কেন সন্ত্রাসী তার কাছে রাখবে তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন আছে। জব্দ দুটি অবিস্ফোরিত প্যাকেট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থানা কম্পাউন্ডে নিরাপদ করা হয়েছে। উদ্ধার বস্তুতে কোন বিস্ফোরক থাকতে পারে এজন্য দক্ষ টিমের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিলো। কিন্তু তার আগেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এদের পেছনে কারা কারা আছে তাদেরকেও খুঁজে বের করা হবে। তারা কোন জঙ্গি সদস্য নয়, তবে কোন না কোন ক্রিমিনাল গ্রুপের সদস্য। কাউকে খুন বা ডাকাতি করার মতো পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।