ঈশ্বরদীর অন্যতম প্রধান মাদক স্পট রেলগেট সুইপার কলোনীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা মুল্যের ১২শ লিটার চোলাই মদসহ ৯ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার একাধিক অফিসার ও ফোর্স গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত পরিমাণ চোলাইমদসহ ৯ জনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঈশ্বরদী শহরের স্কুল পাড়া নিবাসী শ্রী ধীরেন দাসের ছেলে বিপ্লব(২৯) সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া বড় পাড়ার এরশাদ আলীর ছেলে সাহাবুল (৩০) ঈশ্বরদী শহরের ফতে মোহাম্মদপুর এলাকার আইনুল হকের ছেলে জুমরাতি (৪০) ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনির আক্তার হোসেনের ছেলে রাজু (৩০) শহরের দড়িনাড়ীচার শুকদেব বাঁশফোড়ের এর ছেলে সুভাষ কুমার ওরফে ধল্লা বাঁশফোড় (২৮) শহরের সেরশাহ রোডের রহমতের ছেলে সোহেল (৩০) পৌর এলাকার ঈদগা রোডের এর শওকত আলীর ছেলে চঞ্চল (২৭)সলিমপুর ইউনিয়ন এর মিরকামারি মাতাল পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে হেলাল (২৬) ও পৌর এলাকার কাচারীপাড়ার বাবলুর ছেলে রাসেল (৩২)। দিনরাত ২৪ ঘন্টা এই মাদকস্পটে খোলা মেলা বেপরোয়া মাদক ব্যাবসা হলেও অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। কখনও হালকা অভিযান চললেও সুইপার বলে পার পেয়ে যেতো।
এখানকার ছোট বড় সবাই দক্ষ ব্যাবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে যারায় গেছে তারাই লাঞ্চিত হয়েছে। যুগযুগ ধরে চালিয়ে আসা এই মাদক ব্যাবসায়ীদের মদদদাতা কিছু তথাকথিত নেতা ও কর্মকর্তার কারনে অতিতে পুলিশি অভিযান সফল হয়নি। অবশেষে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের দুঃসাহসিক কঠোর ভুমিকার কারনে এবারের অভিযান সফল হলো।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, এটা আমার ঈশ্বরদী বাসীকে দেয়া অঙ্গিকারের অংশ মাত্র। আমি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো ঈশ্বরদী থেকে মাদক নির্মুল করার। এজন্য তিনি ঈশ্বরদী বাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কোন মাদক ব্যাবসায়ী রেহাই পাবেনা। হয় মাদক ছাড়তে হবে না হয় ঈশ্বরদী ছাড়তে হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হবে।