বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

বগুড়া ১ ও যশোর ৬ আসনের উপ-নির্বাচন সুন্দর হয়েছে : ইসি সচিব

বার্তা কক্ষঃ
আজকের তারিখঃ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

বার্তা কক্ষ !! নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। ভোট গণনার কাজ চলছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫টায়।

ইসি সচিব বলেন, যশোরে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। বগুড়ায় কিছুটা কম হয়েছে। তবে ভোট পড়ার হার নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না। গণনা চলছে।

তিনি বলেন, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোট দিয়েছেন। কোন অসুবিধা হয়নি, কোন সহিংস ঘটনাও ঘটেনি।

বগুড়া-১ আসন : মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রার্থীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।

এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ হয়েছে ১২২টি ভোটকক্ষে।

গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

যশোর-৬ আসন : এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।

এ আসনে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছছেন। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল দেয় ইসি।

এই দুই আসনেই ভোটগ্রহণের কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের এক সপ্তাহ পূর্বে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে ১৮০ দিন সময় শেষ হয়ে আসায় করোনার মধ্যেই আবার ভোটের সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। তবে করোনার মধ্যে ভোট করায় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর