বার্তা কক্ষ !! ঈদে সবাই গ্রামে যেতে পারবে কিনা বা পরিবহন ব্যবস্থা কেমন থাকবে, এমন সরকারি সিদ্ধান্ত এখনও না হলেও মালিক সংগঠনগুলো বলছে যাত্রী পরিবহনে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
সংক্রমণের এই সময়ে উৎসবগুলো যেন হারিয়েছে রং। করোনা মহামারীতে পাঁচ মাসে বাংলাদেশ। গত ঈদে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভয় তুচ্ছ করে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে গাঁয়ে ফিরেছেন অজস্র মানুষ। এইবার চলছে পরিবহন। আসন্ন ঈদুল আজহায় তবে কি নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবেন সবাই?
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখনও পরিকল্পনা আমাদের তৈরি হয়নি। সময় আছে, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগে জানাবেন। এই ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পরিবহণ মালিক সমিতি বলছে ঈদে বাসের সংখ্যা না বাড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন কঠিন হবে। আর ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে যে ১৭টি ট্রেন চলছে ঈদে সেই সংখ্যা একটিও বাড়ানো হবেনা বলে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ঈদে আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবো না। সাধারণ মানুষকে নিরুৎসাহিত করতেছি, যাতে ঈদকে সামনে রেখে মানুষের মুভমন্টে কম হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এখন যে নির্দেশনা আছে, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার জন্য তখনও এই নির্দেশনা থাকলে আমরা পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবো। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি মজুদ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঈদে তো বেশি ভিড় হবেই। সরকার যদি বলে ঈদের মধ্যে এই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আমরা সেটা করবো না।
লঞ্চ মালিকরা বলছেন ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের বহু মানুষ ঢাকা ছাড়ায় ঈদ মৌসুমেও তারা পাবেন না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। আর লঞ্চের সংখ্যা যত বাড়বে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও তত বেশী হবে।
লঞ্চ মালিক সমিতির গোলাম কিবরিয়া টিপু উপদেষ্টা বলেন, এবার ঈদের লোক কম হবে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমাদের লোকশান হবে; দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লোকসান অব্যাহত থাকবে।
পরিবহণ মালিকরা বলছেন, তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের। জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে তারা প্রস্তুত যাত্রী পরিবহনে।