নিজস্ব প্রতিবেদক // অর্থ সংকটে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে মানুষ। কেউ সপরিবারে ছুটছেন গ্রামের দিকে। কেউ বা আবার পরিবারকে বাড়ি রেখে আসছেন। ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে রাজধানী জুড়ে। পিকআপ বা ভ্যানে করে মালামাল ভরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন এসব পরিবার।
করোনা সংকটে ইতিমধ্যে কেউ চাকরি হারিয়েছেন, কারও বেতন কমে গেছে, কেউবা ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে বিপুল পরিমাণ মানুষ গ্রামে চলে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এখনই কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে গ্রামে তারা কাজ পেতে পারেন। অন্যথায়, গ্রামের সামাজিক শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
করোনার এই মহামারির ছোবলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় বেশ বড় একটা অংশের মানুষ শহরে ভাড়া থাকার সামর্থ্য হারিয়েছে। তাই গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা নেহাত কম হবে না। মূলত এখন যারা গ্রামে যাচ্ছে তারা কোনো কাজকর্ম নিয়ে যাচ্ছে না। টিকে থাকার জন্য যাচ্ছে।‘যেহেতু তাদের আয়ের উপায় কমে গেছে, ফলে বাড়ি ভাড়াসহ শহরে থাকার খরচটা তারা মেনটেইন করতে পারছে না। ফলে যাদের সুযোগ আছে তারা গ্রামে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই সুনিশ্চিত পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছে না। এখন সরকারকে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’
যারা গ্রামে চলে যাচ্ছে তারা যেন সেখানে টিকে থাকতে পারে, তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সরকারের পক্ষে এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে বেশি দিন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো সম্ভব না, তাই কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের চাহিদামতো প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মাছ চাষের প্রশিক্ষণ, গরু পালনের প্রশিক্ষণ, মুরগির খামার, বিভিন্ন সবজি চাষসহ তাদের চাহিদামতো উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করলে সেগুলো ঘিরে কর্মসংস্থান হবে।