নিজস্ব প্রতিবেদক// ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের মানুষও এর সুফল ভোগ করছে। আর এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা আর তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অগ্রণী ভূমিকার কারণে।
‘সুচিন্তা বাংলাদেশ’- এর আহ্বায়ক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে শুরু হয় সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার কার্যক্রম।
‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছেন বহুদূর।’
সরকারের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরুতেই কম্পিউটারসহ সব আধুনিক যন্ত্রপাতির ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করে নেয় সরকার, যাতে ডিজিটালাইজড করার সব ধরনের যন্ত্রপাতি জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে ফাইভ-জি চালুর প্রস্তুতিসহ ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, এরইমধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার পৌঁছে গেছে। উৎক্ষেপণ করা হয়েছে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশের জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া শুরু হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে গ্রহণ করা হয় ই-পাসপোর্ট প্রকল্প। সরকারি হাসপাতালগুলোতে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হওয়ার ফলে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুব সহজেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিল দিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে আর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ সফলতার কারণেই সরকার সারাদেশে প্রযুক্তির সঙ্গে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পরিচিতি ঘটাতে এবং এর সুফল পেতে একটি ভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরি করছে। দেশের ৪ কোটি ২৬ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ও ডিজিটাল ল্যাবের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। সন্তানদের শিক্ষামুখী করতে মায়েদের মুঠোফোনেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা।
‘ভূমি অফিসগুলোতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জনগণের হয়রানি কমিয়ে জনসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসিস এ শিল্পের জন্য ২৩ হাজার উপযুক্ত জনবল তৈরি করছে। এর পাশাপাশি ১০ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সৃষ্টিতে কাজ করছে।’
আগামী পাঁচ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তা কেউ কল্পনাই করতে পারবে না। তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর ভিত্তি মজবুত হয়েছে, এখন শুধু সুফল আসবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের আইসিটি ইন্ডিকেটর ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সের শীর্ষ পঞ্চাশে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
করোনাকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে অনেক কিছুই সচল রাখা সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধাক্কা লাগলেও প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকার কারণেই অনেক কিছু চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। অনলাইন শপিং, ভার্চ্যুয়াল মিটিং সবকিছুই চলছে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে।
করোনা না এলে দেশ এ সময়েই বহুদূর এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।