বার্তা কক্ষ !! ম্যাচ গড়াপেটা বা ফিক্সিং ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। নানা পদক্ষেপের পরও ফিক্সিংকে বাক্সবন্দি করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি আইসিসি জানিয়েছে, ফিক্সিংয়ের বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গেই জড়িত ভারতের জুয়াড়িরা। আর এই ঘটনার পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাই বোধহয় সবচেয়ে বেশি শিকার হন।
যুগে যুগে তাদের নামের সঙ্গে ফিক্সিং শব্দটি এসেছে, কেউবা এড়িয়ে গেছেন, কেউবা পাতা ফাঁদে পা দিয়েই ফেলেছেন। তবে পা না দিয়েই বা কি উপায়? এবার পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ ফিক্সিং নিয়ে ফাঁস করেছেন ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
তিনি বলেছেন, ফিক্সিংয়ের মূল হোতারা এতটাই শক্তিশালী, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে শেষ হয়ে যেতে পারে একজন খেলোয়াড়ের গোটা ক্যারিয়ারটাই।
৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই পেসার পাকিস্তানের হয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত মোট ১০ বছর খেলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ২২টি টেস্ট এবং ১৬৩টি ওয়ানডেতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তবে জাভেদ যে মানের বোলার ছিলেন, ক্যারিয়ারটা এত ছোট হওয়ার কথা ছিল না।
আকিব জাভেদ জানালেন, মূলত ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কি সে প্রস্তাব ছিল, কে দিয়েছিল-সব কিছুই এতদিন পর ফাঁস করলেন সাবেক এই পেসার।
তিনি জানান, সেলিম পারভেজ নামের পাকিস্তানের সাবেক একজন ক্রিকেটারের মাধ্যমে প্রথমে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। দেশের হয়ে ১৯৮০ সালে একটিমাত্র ওয়ানডে খেলা ওই ক্রিকেটার ২০১৩ সালে ৬৫ বছর বয়সে মারা যান।
শনিবার (২০ জুন) স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আকিব জাভেদ বলেন, দামি গাড়ি এবং কয়েক কোটি রুপি এক ক্রিকেটারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমাকেও বলা হয়েছিল ম্যাচ ফিক্সিং করতে। একই সঙ্গে বলা হয়, যদি রাজি না হই, তবে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। সেলিম পারভেজ নামের সাবেক একজন ক্রিকেটারের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
জাভেদ দাবি করেন, ফিক্সিংয়ের সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তার ক্যারিয়ারটা তখন শেষ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যখন আমি ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে জানতে পারি, তখনই শক্ত অবস্থান নেই। সেখান থেকে নড়িনি। আমার ক্যারিয়ারটা ছোট হয়ে যাওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ নিজের ওপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে।
পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার যোগ করেন, আমার এই অবস্থানের জন্যই বিভিন্ন সফরে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হতো। যারা আমার সঙ্গে কথা বলত, তাদেরও তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে।