বার্তা কক্ষ !! তিন মাস আগেও গ্রামে গ্রামে গিয়ে পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতেন বেদে পরিবারের নারীরা। দিনভর খাটুনির পর প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় হতো। এ টাকায় সংসার চলতো তার। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়িতে বসেই বেকার দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এতে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে সংকটে তাদের পরিবার।
রিমি বেগম নামে বেদে নারী বলেন, গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোকা দূর করা ও নাভিকাটাসহ নানা কাজ করতাম,সারা দিন কাজ শেষে যে টাকা আয় হত সে টাকায় সংসার মোটামুটি ভালোই চলতো। দিন এনে দিন চলতো আমাদের, কিন্তু এখন যেতেও পারছিনা, আবার টাকাও উপার্জন করতে পারছিনা।
বেদে নারী রিমি বেগমের মত যেন একই অবস্থা বেদে নারী বৃষ্টির। জীবিকা টানে কাজে গেলেও তাকে ফিরতে হচ্ছে শুন্য হাতে। তিনিও জানালেন তার কষ্টের কথা।
বৃষ্টি বলেন, ৩/৪ দিন ধরে গ্রামে যাওয়া শুরু করেছি, কিন্তু মানুষজন এখন আর আগের মত সিঙ্গা লাগাতে চাইনা করোনা ভাইরাসের ভয়ে। এখন তিনবেলা ঠিকমত খাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের।
বেদে পরিবারের পুরুষ সদস্য মোহন বলেন, আমাদের নারীরা ঘরের বাইরে কাজ করে আমরা সবাই ঘরে সন্তানদের দেখা শোনা করি। পুরুষদের মধ্যে কেউ আবার ফেরি, পুকুরে হারানো জিনিসপত্র খুঁজে দেওয়াসহ দিন মজুরের কাজ করি। এখন করোনার কারণে কাজ নেই, খুব বিপদের মধ্যে রয়েছি আমরা।
বেদেরা জানায়, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে দৈনিক কাজ করে টাকা উপার্জন করা এসব পরিবারের পুরুষরাও এখন অনেকটাই বেকার, শিশুদের চাহিদাও পূরণ করতে পারছেন অনেকে।
এদিকে করোনা সংকট কেটে গেলে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এমন দিনের অপেক্ষা করছেন বেদে পরিবারের মানুষ।