ফজলুর রহমান লালপুর (নাটোর)প্রতিনিধি !! নাটোরের লালপুরে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে মাজারের কমিটি নিয়ে আওয়াামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে ।
পরে লালপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করে নিয়ে আসে লালপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার (৫ জুন) নাটোরের লালপুরে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে ভেল্লাবাড়ীয়া হযরত শাহ বাগু দেওয়ান (রঃ) মাজার মসজিদে আয়ামীলীগের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের দেয়া কমিটি এবং বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের দেওয়া কমিটির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে , এক পর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেই।
বকুল এমপির দেওয়া নতুন কমিটি মাজার দখল করে এবং মাজারের খাদেমকে হুমকি ধামকি দিয়ে বিতাড়িত করে। পরে পুরাতন কমিটি এসে লালপুর থানায় খবর দিলে, খবর পেয়ে নতুন কমিটির লোকজনকে বের করে দেয়, পুরাতন কমিটি বহাল রেখে উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে । আটককৃৃৃতরা হলো পুুুরাতন কমিটির রেজাউল করিম রেজা (৪০), নতুন কমিটির মধ্যে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ খোরশেদ আলীর দুই ছেলে সুমন আলী (৩০), সুজন আলী (২৫) এবং মৃত মহাসিনের ছেলে মোঃ ভুট্টু আলী(৪০)।
এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান , যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেই প্রতিষ্ঠানে মাঝে মধ্যে এমন মারামারির ঘটনা মানুষ সমাজে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । তবে বিষয়টি এবার শক্ত ভাবে দেখতে চাইছি। তিনি আরো বলেন যারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাই এবং যাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না ।
এব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান কমিটির বিষয়ে আমরা সবাই বসার আগেই আমার অজান্তে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে । তিনি আরো বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে লালপুর থানা পুলিশ কি ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সেটা তাদের ব্যাপার।