নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ঢাকা থেকে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের এক তরুণী। পোশাক কারখানায় কাজ করা ওই তরুণীর শরীরে ছিল করোনার উপসর্গ। রংপুরে আসার পর ট্রাকটির ওপরই জীবনপ্রদীপ নিভে যায় ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর। পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ বুঝে নেয়ার পর বাবার ওপর চাপ আসতে থাকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে। করোনায় মারা গেছেন এমন সন্দেহে গ্রামবাসী লাশ আনতে বারণ করেন মেয়েটির বাবাকে। উপায় না পেয়ে মেয়ের লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যান বাবা। ঘটনার একদিন পর আদিতমারী থানা পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বাবার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী গুড়িয়ারটারী গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে মৌসুমী আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হন তিনি। গত শুক্রবার ট্রাকে করে বাড়ি ফেরার পথে রংপুরে এসে ট্রাকেই মৃত্যু হয় তার। রংপুরের তাজহাট থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত করে লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে। পরে স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে লাশ নিজ বাড়িতে দাফন না করতে গোলাম মোস্তফাকে ফোন করে চাপ দেন। গোলাম মোস্তফা বাধ্য হয়ে মেয়ের লাশ বাড়ি নেয়ার পথে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যান।
বিষয়টি জানাজানি হলে আদিতমারী থানা পুলিশ রবিবার রাতে মৌসুমী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশকে অবগত করে। পরে বাবা গোলাম মোস্তফাকে নিয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ পাটগ্রাম থানা পুলিশকে ও তার বাবার নিকট লাশ হস্তান্তর করে। মরদেহের দাফন নিজ বাড়িতে না হলেও থানা পুলিশের হেফাজতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মোহন্ত।