নিজম্ব প্রতিবেদকঃ- রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনা ধরা পড়েছে ৪৭ জনের শরীরে। এর মধ্যে ২৪ জনই বগুড়ার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যে দুজন মারা গেছেন এদেরও একজনের বাড়ি বগুড়ায়, অন্যজনের রাজশাহীতে।
সর্বোচ্চ ১৪১ জনের করোনা ধরা পড়ায় বিভাগে করোনার নতুন হটস্পট এখন বগুড়া জেলা। এই জেলার ২৮ করোনা আক্রান্ত এখন হাসপাতালে। করোনা জয় করেছেন ১৭ জন।
শনিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৫১ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬৯ জন। করোনায় প্রাণ গেছে এ পর্যন্ত ৫ জনের। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ১০৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বগুড়ার আগে করোনার হটস্পট ছিল জয়পুরহাট জেলা। জয়পুরহাটে সব মিলিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩২ জনের। গত ৪৮ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ জনের। জেলার ১১৮ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৩৪ জন।
নওগাঁয় বিভাগের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন কারও করোনা ধরা পড়েনি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৬ জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহী জেলায় আক্রান্ত দাঁড়ালো ৩৯ জনে। এখানকার ৮ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করেছেন জেলার ৯ জন। এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজশাহীর দুজন।
গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় ৫ জন এবং নাটোরে ৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এ পর্যন্ত পাবনায় ৩১ জন এবং নাটোরে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এই দুই জেলার কোনো করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হননি। কেবল পাবনায় এক করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া নাটোরে একজন করোনা রোগী মারা গেছেন।
তবে নতুন করে করোনা ধরা পড়েনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায়। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬ জন, নাটোরে ৪৮ জন, পাবনায় ৩২ জন এবং সিরাজগঞ্জে ১৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। করোনা জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন ও সিরাজগঞ্জের তিন জন। করোনায় একজনের প্রাণ গেছে সিরাজগঞ্জে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৫২ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৭ হাজার ২২৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫৪২ জনকে। এদের ৪১০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩৮৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬২ জন।