মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুরুতে ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং বাকি শ্রেণিগুলোতে ২০২৪ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। এ লক্ষ্যে পাবনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ নিয়ে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনারদের ছয় দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
আগামী শিক্ষাবর্ষে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন ধারার শিক্ষাপদ্ধতি। আগামী বছর দুইটি শ্রেণিতে একযোগে নতুন শিক্ষাপদ্ধতি চালু করতে ছাপা হয়েছে নতুন বই। শুরু হয়েছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও। প্রথমে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি এবং পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সারা দেশে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য বছরের শুরুতেই ৫২০টি কেন্দ্রে একযোগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন সিলেবাস ও বইয়ের মাধ্যমে পড়ালেখা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পাল্টে যাচ্ছে। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পরীক্ষা বা নম্বর পদ্ধতি থাকছে না। এর পরিবর্তে ক্লাসে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং বছরে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীরা প্রচলিত মুখস্ত পদ্ধতির পরিবর্তে হাতে-কলমে শিখবে।
এছাড়া নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রশ্ন বা পরীক্ষা থাকছে না। ক্লাসে অধ্যায়ন শেষে একক কাজ, দলীয় কাজ, বইয়ের ছক পূরণ, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আশরাফুল ইসলাম (সবুজ)
নির্বাহী সম্পাদক: রাকিবুল ইসলাম (রকিব)
©২০২০-২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || দৈনিক ঈশ্বরদী নিউজ