বাবার শখ ছিল পালকিতে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন, মার শখ ছিল হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবে। বাবা মা উভয়েরই শখ পূরণ করল প্রকৌশলী ফজলুর রহমান। ফজলুর রহমানের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাহিরচর গ্রামে।ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রহমান। মা-বাবার শখ পূরণে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরের পথ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন ফজলুর রহমান। হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র চার মিনিট।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে পালকিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যান বর। নিজ বাড়ি থেকে হেলিকপ্টার পর্যন্ত ফজলুর রহমান আসেন পালকিতে চড়ে। মা-বাবার শখ পূরণে এমন কাজ করেছেন তিনি। তার বিয়ের আয়োজন দেখে অবাক গ্রামবাসী।
জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাহিরচর গ্রামে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের আয়োজন ঘিরে বর এবং কনের বাড়িতে ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। বর ফজলুর রহমান কৃষক আব্দুর রশিদের ছেলে। কনে ফারিয়া জান্নাত মৌ একই উপজেলার হাসমিলান গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার মেয়ে।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে হরিরামপুর পাঠগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন বর ফজলুর রহমান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই বজলুর রহমান, বোন ও ভাগনি। দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে কনের বাড়ি এলাকার দিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছে বরযাত্রীবাহী হেলিকপ্টার। সেখান থেকে কনের বাড়ি যান পালকিতে চড়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূ নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে আসেন ফজলুর রহমান।
ফজলুর রহমানের বড় ভাই বজলুর রহমান বলেন, আমার বাবা আব্দুর রশিদের শখ ছিল ছোট ছেলেকে পালকিতে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। মা আনোয়ারা বেগমের শখ ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করবে ছেলে। মা-বাবার শখ পূরণের জন্যই বিয়েতে এসব আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়া হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। পালকি ১৫ হাজার টাকা এবং বাদ্যযন্ত্র ভাড়া করা হয় পাঁচ হাজার টাকায়।
নববধূ ফারিয়া জান্নাত মৌ বলেন, হেলিকপ্টার এবং পালকিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাব- এটা কখনও কল্পনা করিনি। এমন ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন দেখে আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসী খুশি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক
সম্পাদক ও প্রকাশক : আশরাফুল ইসলাম (সবুজ)
নির্বাহী সম্পাদক: রাকিবুল ইসলাম (রকিব)
©২০২০-২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || দৈনিক ঈশ্বরদী নিউজ