শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ প্রকাশের পর উচ্ছেদ অভিযানে সর্বস্বহারা সিদ্দিকুর ঘর পাচ্ছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস।

ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব মোড় থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য গত বুধবার (২২জুন) সড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দিনব্যাপী ঐ উচ্ছেদ অভিযানে একমাত্র সম্বল দোকান ও বসতভিটা হারান সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। সে ঈশ্বরদী পৌর ৯ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা।

আলহাজ্ব মোড় থেকে অদুরে রাস্তার পাশে সিদ্দিকুর রহমানের একটি লেপ তোষকের দোকান ছিলো। নিজস্ব কোনো ঘরবাড়ি না থাকায় মা হারা দুই কন্যা সন্তান নিয়ে সেখানেই রাত কাটাতেন তিনি। আর দোকান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়েই চলতো তিন জনের সংসার।

উচ্ছেদ অভিযানের সতর্কীকরণ মাইকিং শুনে সবাই যখন দোকানের মালামাল সরানোর কাজে ব্যস্ত। তখনই মাথায় হাত সিদ্দিকুর রহমানের। কারন মালামাল সরিয়ে রাখার জন্য তার কোনো ঠিকানা ছিলো না।

অভিযান শুরুর ঠিক ৩০ মিনিটের মধ্যে গুড়িয়ে দেওয়া হয় সিদ্দিকুর রহমানের সেই দোকান। দীর্ঘ আকুতির পরও নিজের শেষ সম্বল রক্ষা করতে না পেরে, সেসময় দুই কন্যা সন্তান নিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি বলেন, আমাকে কেউ এক বোতল বিষ কিনে দেন আর না হলে আমার বুকের ওপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দিন। আমার একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁই ছিলো এই দোকানটি। এখান থেকেই দুই মুঠো ডাল ভাতের ব্যবস্থা হতো। আজ সর্বস্ব হারিয়ে দুই মেয়ে নিয়ে আমি খোলা আকাশের নিচে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সর্বস্ব হারা সিদ্দিকুর রহমানের এমন আর্তনাদের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সিদ্দিকুর রহমানের ঐ আর্তনাদ মুহূর্ত নজরে আসে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসনের। পরে শুক্রবার (২৪ জুন) ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস তাকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ দেন। এসময় তার দুই কন্যাসন্তান কে পোশাক ও খাওয়া বাবদ আর্থিক সহযোগীতাও করেন ইউএনও।

উপজেলা প্রশাসনের এমন মানবিক কাজে সেসময় দুই কন্যাসন্তান নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সিদ্দিকুর রহমান। অশ্রুসিক্ত চোখে উপজেলা প্রশাসন ও গনমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !