শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য চলতি বছর মনোনয়নের তালিকায় জায়গা পেলেন ক্যানসার রোগীসহ নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্তদের নিরাময়ে বিশেষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ চেয়ারম্যান ও সিইও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকান ডা. রায়ান সাদী। জানা গেছে, ‘নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ’ ওয়েবসাইট চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন তালিকায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৪৩টি নাম উল্লেখ করেছে।
ডা. রায়ান সাদী ১৯৬৪ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তৈয়ব হোসেন ও আসমা বেগম দম্পতির বড় সন্তান। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।
২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে নোবেল কমিটি এই মনোনয়ন দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রায়ান সাদীর প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ ওয়েবসাইট। ডা. রায়ান সাদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৯২ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
যুক্তরাষ্ট্রে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় রায়ান সাদীর নাম আসার বিষয়টি নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রায়ান সাদী ডা. দীপু মনির বন্ধু্। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের- কে ৪০ ব্যাচের সহপাঠী।
ফেসবুকে পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন।
এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।