ঈশ্বরদীতে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এখানকার বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রকারের ৫০ কেজি বস্তার চাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্যার প্রভাব ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পর এবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ব্যবাসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলাররাই চাল মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করছেন। এতে চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ।
শনিবার ঈশ্বরদী খুচরা বাজারে সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি মানের মোটা পাইজাম কিংবা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭৪ এবং নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিআর–২৮ জাতীয় চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬৬ থেকে ৭৩ এবং নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এসব চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা করে। এ ছাড়া সব ধরনের পোলাও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা।
বাজারে চাল কিনতে আসা অজিজুল হক বলেন, দাম তো বাড়ছেই। যত দিন পারি ততদিন কিনব, কারণ খেয়ে থাকতে হবে তো। তিনি বলেন, আমরা তো চাইলেই কিছু করতে পারি না, আমাদের কিছু করার নেই।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, বন্যার কারণে এ বছর চালের উৎপাদন কম হয়েছে। এখন নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ ও যাতায়ত খরচ বেড়েছে, ফলে বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।