অনিয়মের প্রতিবাদ করায় কর্তব্যরত অবস্থায় একজন নারী সদস্যকে অশ্রাব্য গালাগাল,লাঞ্চিত ও প্রকাশে ঘুষি মেরেছেন ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলাম।
রোববার উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের হালনাগদ কার্যক্রম চলকালীন সময় অনিয়মে বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের টেকনিক্যাল প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকেও গালিগালাজ করে ওই ইউপি মেম্বার।আনসার নারী সদস্য অভিযোগ করে বলেন নারীদের লাইনে গিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে নিজের পরিচিত মানুষদের বে-ছে আগে প্রবেশ করাচ্ছিলেন ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তারুল।
আমি ঐ লাইনের দায়িত্ব থাকায় তাকে নিষেধ করলে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন। ভোটার হালনাগাদের সময় মহিলা লাইনে গিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে নিজের পরিচিত মানুষদের বেছে বেছে প্রবেশ করান।লাইনের দায়িত্ব থাকা মহিলা আনসার সদস্য সুরাইয়া আক্তার নিষেধ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এভাবে তার বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকলে টেকনিক্যাল ইন্জিনিয়ার ও এমন অনিয়ম করতে নিষেধ করে ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলামকে।তখন সে রাগম্বিত হয়ে ইউনিফর্ম পরা মহিলা আনসার সদস্য সুরাইয়া আক্তারকে টেনে হিঁচড়ে গেট থেকে বেড় করে দেয় ও ঘুষি মারে এবং টেকনিক্যাল ইন্জিনিয়ার সাইফুল ইসলামকেও গালিগালাজ করে। এবং টানতে টানত বাহিরে নিয়ে যায় এক পর্যায়ে ঘুষি মারে এবং বলে এই এলাকা কি তোর বাপের এটা আমার এলাকা, তুই কে? এ বিষয়ে সুরাইয়া আক্তার বলেন আমাকে খুব বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেনে হিচড়ে বের করে দেন এবং সজরে ঘুষি মারেন।
এ বিষয়ে সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মালিথা বলেন আসলে ভোটের হালনাগাদের টেকনিক্যাল ইন্জিনিয়ার এবং ইউপিসদস্যকে চিনতে পারেনি। একটা ভুল বোঝাবুঝি। তবে খুব বেশি কিছু হয় নি আমি ঘটনাস্হলে থেকে মিমাংসা করে দিয়েছি।
বিষয়ে উপজেলা আনসারও ভিডিপি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন অফিসার সহ আমরাএই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তাছাড়া আনসার সদস্য সুমাইয়া আক্তারকে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি।