বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদীতে জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক কর্মচারিদের কর্মবিরতি পালন

নিজস্ব প্রতিনিধি
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
শিক্ষক কর্মচারিদের কর্মবিরতি

এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে পাবনা ঈশ্বরদীতে মাধ্যমিক শিক্ষকরা।

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে এই কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে। এসময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা শিক্ষক কর্মচারিদের কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়ে যোগ দেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সুযোগ—সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ।

অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি ফজলুল হক বলেন, সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গতকাল জেলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। নয়তো আমরা কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে যেতে হবে।

এদিকে শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মবিরতিতে যোগ দেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা। তারাও বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের দাবি জানান। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তারিন আক্তার জানান আমার বিদ্যালয়ের প্রতিমাসে সাড়ে দুইশ’ টাকা বেতন দিতে হয়। সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাত্র ২০ টাকা বেতন দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের এই বৈষম্য বন্ধ করতে হবে। তাই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানাই।

ভাষা শহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি, সেটা হলো জাতীয়করণ। এর মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারণ এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ মানুষের ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা ঢাকা গিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

সহকারী শিক্ষক জিয়াউল ইসলাম  বলেন, গেল মাস থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুরু হয়েছে আন্দোলন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরাও কর্মবিরতি পালন করছি। এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলে শুধু শিক্ষকরা উপকৃত হবেন তা নয়, এখানে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরাও উপকৃত হবেন।

সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক বলেন, সারা দেশে একযোগে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে কর্মবিরতি পালন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা চাই, নয়ত আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজ পথে আন্দোলনে বের হবো।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !