শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদীতে আমন ও শীতকালীন সবজি মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী সার পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
মেসার্স জালাল উদ্দিন ট্রেডার্স সাহাবুল ইউনিয়ন থেকে তোলা।

পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি আমন ও শীতকালীন সবজি মৌসুমে ভালো ফলন পেতে ও আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের বিড়ম্বনা এড়াতে উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সকল প্রকার সার মজুদ করা হয়েছে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের তা নায্য মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার অনুমোদিত সার ডিলারদের গোডাউনে সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৯৯০ মেট্রিকটন। যার মধ্যে ইউরিয়া ৩৪০ মেট্রিকটন, টিএসপি ১০০ মেট্রিকটন, ডিএপি ৩৭০ মেট্রিকটন ও এমওপি ১৮০ মেট্রিকটন।

অক্টোবর মাসে উপজেলায় ইউরিয়া সারের বরাদ্দের পরিমান বাড়িয়ে সাড়ে ৪’শ মেট্রিক টন করা হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিনেও উপজেলায় সারের মজুদ রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ বস্তা। যার মধ্যে ইউরিয়া ১ হাজার ৩০০ বস্তা, ডিএপি ১ হাজার  ৪৪০ বস্তা, এমওপি ৯১৪ বস্তা ও টিএসপি-৪৫ বস্তা।

সরেজমিনে উপজেলার মুলাডুলি, সাহাপুর, ছলিমপুর, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন, ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গ্রামে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়েছে।  মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় কৃষক সঠিক মূল্যে কোন প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই সার পেয়েছেন। এ দিকে বি সি আই সি ডিলার মেসার্স জালাল উদ্দিন ট্রেডাসের মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সরকারি নির্ধারিত দামে সার বিক্রি করা হয়। সেখানে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে কৃষকদের নাম ও সারের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। এতে অনিয়মের কোন সম্ভবনা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, উপজেলায় বিসিআইসির ১০ জন এবং বিএডিসির ১১ জন সার ডিলার সহ ৪০ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়মিত সার বিক্রি করে আসছেন। উপজেলায় সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। কোনো প্রকার সংকট নেই।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !