মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন লালপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বিদায়-বরণ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত রূপপুর প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির ফসলের ক্ষতিপূরণ পেলেন আরও ১৭ কৃষক ঈশ্বরদীতে রূপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা-১৩ মে নির্বাচন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পুস্পার্ঘ অর্পণ ঈশ্বরদীতে তিন লাখ নকল ব্যান্ডরোল-বিড়িসহ গ্রেফতার-১ ঈশ্বরদীর পাকশীতে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন ঈশ্বরদীতে ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস পালিত

লালপুর অবৈধ পুকুর খননে হুমকির মুখে বসতবাড়ি-রাস্তাঘাট

ফজলুর রহমান
আজকের তারিখঃ মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

লালপুর উপজেলা জুড়ে অবাধে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। আর এই মাটি নিয়ে গিয়ে ইটভাটায় পুড়িয়ে ইট তৈরি হচ্ছে। এসব মাটি খোকো প্রভাবশালী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা দুই তিন ফসলি উর্বর জমি, উঁচু ভিটা, পদ্মার চর, এমনকি ক্ষুদ্র বিল কোন কিছুই বাদ পড়ছে না।

মাটি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকার উর্বর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট। নাটোর জেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ২০১৯ সালের ১২ মে হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি করেন। এ সময় জেলার পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষিজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ফসলি জমিতে নতুন করে ২০টি পুকুর খনন করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এবং সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাদী জমির শ্রেনি পরিবর্তন করে পুকুর খননের মহোৎসবে মেতেছে মাটি খেকোরা। উপজেলার লালপুর সদর, দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া, আড়বাব, কদিমচিলান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুই/তিন ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অবাধে মাটি কেটে ভাটায় নেওয়া হচ্ছে।

এতে নষ্ট হচ্ছে পাঁকা রাস্তা। পাঁকা রাস্তায় ভেঙে ধুধু বালুতে পরিণত হয়েছে। আশেপাশের বসতঘর আর গাছপালা ছেয়ে গেছে সেই ধুলোয়। মানববন্ধন করেও এর প্রতিকার পান নি এলাকাবাসী। গ্রামের এলাকাবাসী বলেন, দিনরাত মাটি কাটা চলে। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ভারী ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও গাড়ির শব্দ ও ধুলার কারণে বাইরে বের হওয়া যায় না। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনন্ত ৫ জন বলেন, আবাদি জমি কেটে গভীর করা হচ্ছে। বাড়িঘরে ধুলোর স্তুপ জমে গেছে। তা ছাড়া সারা দিন রাত এস্কেভেটর ও ট্রাকটরের শব্দে ঘুমাতে পারি না। পুলিশ প্রশাসনকে মুঠোফোনে জানালেও এর কোন প্রতিকার হয় না। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে তারা কিছু বলার সাহস পান না।

এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, আমি মাটি কাটার বিপক্ষে। অবৈধভাবে কেউ ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে, তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশ ফোর্সসহ আমি নিজে উপস্থিত থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, সব সময় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং এটা অব্যাহত থাকবে। গত দুই মাসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও অনেক গভীর রাতে কিছু জায়গায় মাটি কাটার চেষ্ঠা করলে আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেয়।

শেয়ার করুন...


এই বিভাগের আরো খবর........
.
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !