বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
লালপুরে ভেল্লাবাড়িয়া মাজার মসজিদে সিন্দুক ভেঙ্গে টাকা চুরি তিনদিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি ঈশ্বরদীতে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তোমরা বড় হয়ে, সোনার মানুষ হবে: ইমদাদুল হক মিলন ২০২৪ সালে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে রূপপুরের বিদ্যুৎ ঈশ্বরদীতে করিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০০ আসনে চূড়ান্ত সিগন্যাল অক্টোবরে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাবনায় রিকশাচালকের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাটে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাবনার হাজিরহাট ও বনগ্রাম বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর বাজার তদারকি

থমকে গেছে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজকের তারিখঃ বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিমান বিনিয়োগ হয়, তার ৭৩ শতাংশ অর্থের যোগান দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও খাত।

সংকটে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম, প্রায় বন্ধ রয়েছে কিস্তি আদায়। ফলে নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

যার কারণে প্রান্তিক অর্থনীতিতে প্রকট হয়েছে তারল্য সংকট। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। সেখানে ক্ষুদ্র ঋণের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিমান বিনিয়োগ হয়, তার ৭৩ শতাংশ অর্থের যোগান দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও খাত। অর্থাৎ গ্রামীণ অর্থনীতির ৩ কোটি ৩০ লাখ পরিবারের অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণে থমকে গেছে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। প্রায় বন্ধ হতে চলেছে ঋণ বিতরণ ও কিস্তির টাকা আদায়। বছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে এনজিও খাত। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে তিন মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

ঋণ বিতরণ কমার ফলে তা সরাসরি গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। কৃষি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অর্থায়ন নিশ্চিত করে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। হিসাব বলছে, গেলো মার্চ থেকে মে এই তিন মাসে এনজিও খাতে ঋণ স্থিতি কমেছে ২২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সঞ্চয় ঘাটতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।

এমন পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে ঋণ আদায়ের হার মাত্র ৫০ থেকে ৫৬ শতাংশ। যা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক বা ৫০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম। সংকটময় এই সময়ে মাঠ পর্যায়ে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে, যা সামাল দিতে অর্থায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। এতদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঋণের কিস্তি তো আদায় হয়নি। বড়, মাঝারী ও ছোট এনজিওগুলোর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট এনজিওগুলো। এনজিও খাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

 নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটিরি (এমআএ) অধীনে সারাদেশে ২১ হাজার ৬৬৭টি শাখার মাধ্যমে কাজ করছে সাতশর বেশি মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট (এমএফআই)। জিডিপিতে মাইক্রো ক্রেডিটের অবদান ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। এমএফআই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে ২লাখ ৫০ হাজার মানুষের।

শেয়ার করুন...


এই বিভাগের আরো খবর........
.
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !